দৌলতদিয়ায় যানবাহনের চাপ আছে, ভোগান্তি নেই

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদ শেষে রাজধানীমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ থাকলে পদ্মা পরাপারে কোনো ভোগান্তি নেই। 

রাজবাড়ী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2022, 08:02 AM
Updated : 6 May 2022, 08:02 AM

শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের চাপ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান।

সরজমিনে দেখা যায়, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। প্রতিটা যানবাহনকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া রয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ।

রাজবাড়ী পরিবহনের যাত্রী মিতু খাতুন বলেন, “সকাল ৯টায় ঘাটে এসে এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় আছি। হয়তো আর ১০ মিনিটের মধ্যে ফেরিতে উঠব। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদে ভোগান্তি নেই বললেই চলে।“

আরেক যাত্রী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঈদ শেষে ফেরি ঘাটে এরকম পরিবেশ পাব সেটা কখনও ভাবিনি। কারণ, স্বাভাবিক সময়ের মতোই ফেরিতে উঠছে যানবাহনগুলো। আমি সকাল ১০টায় ঘাটে এসেছি, ঘণ্টাখানেক অপেক্ষায় আছি। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই উঠতে পারব বলে আশা করছি।”

যাত্রী মুন্না আহম্মেদ বলেন, “ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছি। ভেবেছিলাম বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হবে ফেরি ঘাটে। এবার মহাসড়ক ও ঘাটের ব্যবস্থাপনা খুবই সুন্দর, যে কারণে ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ কোনোপ্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। সারা বছর এইরকম পরিস্থিতি থাকলে ভালোই হবে।”

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে এই নৌ-পথে ২১টির মধ্যে ১৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যানবাহনের চাপ আছে তবে ভোগান্তি নেই।

ঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রার্ফিক সার্জেন্ট আকবার হোসেন বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত পুরো ঘাট এলাকা ফাঁকা ছিল। ১০টার পরে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বেলা ১২টার মধ্যে দুই কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়। তবে যানবাহনগুলোকে বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।