সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের বরাদম এলাকায় নির্মাানাধীন ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির ৩৬ মিটার বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে বলে রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি জানান।
নিহত শ্রমিক মো. রফিকের (৪৫) বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশায়।
মগবান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুষ্প রঞ্জন চাকমা বলেন, “আমার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেপ্যছড়ি এলাকায় এই সড়কের সবচে বড় নির্মাণাধীন সেতুর শেষ অংশের ঢালাই কাজ চলছিল। সেখানেই গার্ডার ধসে পড়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বলেও শুনেছি।”
সেতুটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা জানিয়ে প্রকৌশলী আহমেদ শফি বলেন, “যতটুকু জেনেছি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই সেতুটির ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। বৃহস্পতিবার সেতুর গার্ডারের স্ল্যাবের ঢালাই চলছিল। ঠিকাদারের লোকজন যেখানে ঢালাই করবে সেটার উপরই মিক্সার মেশিন রেখে কাজ করছিল। ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে রাঙামাটি সদর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব রায় চৌধুরী বলেন, “সেতুর যে স্থানে ঢালাই হচ্ছিল; সেটার উপরেই মিক্সার মেশিন রেখে কাজ করায় অতিরিক্ত ভাইব্রেশনে স্প্যানের জয়েন্টে হয়ত সমস্যা হয়েছে। ফলে কাজ শুরু করার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই মিক্সার মেশিনসহ গার্ডারের মধ্যবর্তী ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত ৩৬ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আমাদের তদারকির কাজে নিয়োজিত লোকজন ছিল। তবে তারা কেউ আহত হননি। এই আকস্মিক ঘটনায় আমরাও হতবিহ্বল।”
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদার জসিমউদ্দিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তাছাড়া জসিমউদ্দিন জেলা যুবলীগের জেলা কমিটির সদস্য বলে স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
এদিকে ব্রিস ধসে পড়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি করীর হোসেন বলেন, আরও ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করবে।