বাবার ‘রূঢ় আচরণে’ হলের সিট বাতিল রাবি শিক্ষার্থীর

বাবার ‘রূঢ় আচরণের’ অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের এক শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করেছেন প্রভোস্ট।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি bdnews24.comবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2022, 04:18 PM
Updated : 19 April 2022, 04:18 PM

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদিকদের এ কথা জানান দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রোকন উদ্দিন কাইকাউস। 

রোববার মতিহার হল প্রশাসন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে রোকন উদ্দিন কাইকাউসকে এ কথা অবহিত করা হয় বলে রোকন জানান।

রোকন উদ্দিন বলেন, জানুয়ারির প্রথম দিকে প্রাধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত করেন তিনি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হল প্রশাসন দরখাস্তটি হারিয়ে ফেলেছে। এরপর বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের নাতি পরিচয়ে আবার একটি দরখাস্ত জমা দেন তিনি।

রোকন বলেন, “গত ২ মার্চ আমাকে আবাসিকতার কার্ডসহ (নম্বর-১৯০০৭১২১৮) তৃতীয় ব্লকে ১৪৬ নম্বর রুম দেওয়া হয়। তবে রুমে গিয়ে দেখি মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছেন এবং হল প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলে তারা এক মাস পর উঠতে পারব বলে জানান। কিন্তু এক মাস পর গিয়ে দেখি ওই রুমে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সেশনের দুই শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছেন।

“এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে হলে উঠিয়ে দিবেন বলে আশ্বাসও দেন। তবে এক সপ্তাহ পরে দেখা করলে তিনি সরাসরি অসম্মতি জানান। পরে অফিস থেকে আমাকে আবাসিক কার্ড জমা দিয়ে ভর্তির টাকা ফেরত নিতে বলা হয়। পরে আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সিট বাতিল করা হয়; যা নিয়ম বহির্ভূত ও পক্ষপাতমূলক।”

মতিহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বলেন, বর্তমানে হলে সিট না থাকায় তাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে নতুন ব্লক চালু হলে সেখানে সিট বরাদ্দ করার আশ্বাসও দেওয়া হয়।

“গত ৬ এপ্রিল ছেলের বাবা আমার সাথে দেখা করেন এবং সিটের ব্যাপারে খোঁজ নেন। আমি তাকে আশ্বস্ত করি নতুন ব্লক চালু হলে সিট বরাদ্দ পাবে। পরে তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করলে সিট কেন দেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে কৈফিয়ত চান এবং রূঢ় ও অশোভন আচরণ করেন। তার এরূপ আচরণ অশোভনীয় এবং অপমানজনক; সে কারণে রোকন উদ্দিন কাইকাউসের হলের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।”

বাবার আচরণের কারণে আবাসিক হলে কোনো শিক্ষার্থীর সিট বাতিলের এখতিয়ার প্রভোস্টের রয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “সব এখতিয়ার তো আর লেখা থাকে না। সেটা কে প্রয়োগ করছে তার ওপর নির্ভর করে। প্রাধ্যক্ষ কোন প্রেক্ষিতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমার জানা নেই। বিষয়টি মাত্রই জানলাম। তবে হলে কেউ কোনো শৃঙ্খলা-বিরোধী কাজ করলে প্রাধ্যক্ষ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।”