বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত পারভীন বেগম ওরফে শায়লা (৩৮) জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ জানান।
এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে চারজনকে অব্যাহত দেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মালাধর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে বিপুল মিয়া (৪০), দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রমজান আলী (৪৫), একই উপজেলার বড়গলি এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে সাজু মিয়া (৩৫) ও সোহাগ হাসান।
মামলার বরাতে ফারুক বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকালে কয়েকজন মাদক বিক্রেতা হেরোইন নিয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মোড়ে পুলিশ বাসটিকে থামানোর জন্য নির্দেশ দিলে কয়েকজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে বাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় সন্দেহজনক হিসেবে পারভীন বেগমের হাতে থাকা একটি ব্যাগে তল্লাশি করলে ৫০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়।
পরে গোবিন্দগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই মনিরুল হক বাদী হয়ে পারভীনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।