ফেনীতে স্টার লাইন ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুরে স্টার লাইন ফুড কারখানায় বড় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2022, 12:17 PM
Updated : 25 March 2022, 04:43 PM

স্টার লাইন কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নুডলস তৈরির একটি শেড থেকে লাগা আগুন আশপাশের কয়েকটি কারখানার শেডে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফেনী ও আশপাশের জেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট গিয়ে নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে।  

স্টার লাইন গ্রুপের পত্রিকা ‘দৈনিক স্টার লাইন’-এর সহযোগী সম্পাদক জসিম মাহমুদ কারখানার শ্রমিকদের বরাত দিয়ে বলেন, কাশিমপুরে অবস্থিত স্টার লাইন ফুড কারখানার নুডলস শেড থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তে পাশের বেকারি, সেমাইসহ ৫০টি পণ্য উৎপাদনের শেডে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানার কয়েকটি শেড ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে ফেনীর ৫টি উপজেলা টিম ও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আরও কয়েকটি টিম মিলিয়ে ১১টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালাচ্ছে।

“আগুন লাগার সময় শ্রমিকরা জুমার নামাজ ও খাবার বিরতিতে ছিলেন; তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”

স্টার লাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন বলেন, স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানার সেমাই, নুডলস, বিস্কুট, চানাচুর, বার্গার, পেইস্ট্রি, মিষ্টিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আইটেমের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হতো। কারখানায় সকল ধরনের কঞ্জুমার আইটেমের পাশাপাশি মিনারেল ওয়াটার প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কারখানায় অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে।

“আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত পণ্যসহ আগুন লাগার সময় প্রায় কয়েক কোটি টাকার উৎপাদিত পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।”