তবে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আটক দুই যুবক ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর শহরের হাসপাতাল সড়কের হেমাঙ্গিনি সেতুর ওপর এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহত দুই কন্সটেবল হলেন সেলিম হোসেনে (২৫) ও হাসিবুর রহমান (২৮)। তাদের মধ্যে সেলিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, দুপুর ২টার দিকে পুলিশ লাইনসে কর্মরত দুই পুলিশ কন্সটেবল সাদা পোশাকে মোটরসাইকেল নিয়ে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। হেমাঙ্গিনি সেতু অতিক্রম করার সময় তারা পাশের একটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করেন। এতে পাশের মোটরসাইকেলের দুই যুবক ক্ষুদ্ধ হন এবং তারা পুলিশের মোটরসাইকেলকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
“এক পর্যায়ে ওই তরুণরা দুই পুলিশ সদস্যকে বেদম মারপিট শুরু করেন। কিলঘুষির আঘাতে কপাল ও মাথা দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। আক্রমণের শিকার দুই পুলিশ নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পরও তরুণরা মারপিট করেই যাচ্ছিলেন।”
ওসি বলেন, পরে আশপাশ থেকে আরও পুলিশ এগিয়ে এলে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। তখন অন্য পুলিশরা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী দুই যুবককে আটক করে।
এরা হলেন জেলা শহরের কান্দিভিটুয়ার জাকির হোসেন (২৫) ও আলাইপুরের সাগর প্রামাণিক (২৭)।
ওসি জানান, এ ঘটনায় ওই দুই তরুণও সামান্য আহত হয়েছেন এবং চারজনকেই নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, “সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহত সেলিম হোসেনকে রাজশাহীতে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মাথায় বেশ কিছু সেলাই দিতে হয়েছে। হামলাকারীরা ‘ছাত্রলীগের নামধারী’। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।”
পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে; তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি এসপি লিটন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাদত হোসেন বলেন, “ছাত্রলীগের কেউ পুলিশের ওপর হামলা করেনি। বরং ছাত্রলীগের ছেলেরা পুলিশকে রক্ষা করতে গিয়ে কেউ কেউ আহত হয়েছেন। আটক যুবকরা ছাত্রলীগের কোনো পদে নাই।”