লালন অনুসারী হৃদয় শাহ ফকির জানান, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি- বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্ এর এই আধ্যাত্মিক বাণীর শ্লোগানে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনদিনের এ লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে লালন একাডেমি। এতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। উদ্বোধনী দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে লালন মঞ্চে আলোচনা সভা ও গভীর রাত পর্যন্ত লালন একাডেমির বাউল শিল্পীসহ দেশের ও ওপার বাংলা থেকে আসা বিভিন্ন খ্যাত বাউল শিল্পীদের পরিবেশনা চলবে।
লালন একাডেমির সদস্য সচিব সেলিম হোসেন বলেন, এ উৎসবকে ঘিরে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার কালি নদীর তীরে লালন আঁখড়াবাড়ির মাঠে বসেছে গ্রামীণ মেলা। সেই সঙ্গে দুই বছর পরে সাধু ভক্তরা গুরু শিষ্যের মিলনমেলায় সববেত হতে পারবেন বলে তারাও খুশি।
জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন।
বাউল সম্রাট লালন শাহ্ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পর এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা।