সাবেক স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে তার ভাইকে হত্যা, পরে আত্মহত্যার চেষ্টা

রংপুরের পীরগাছায় সাবেক স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার পর এক যুবক বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2022, 08:28 AM
Updated : 22 Feb 2022, 09:30 AM

এ সময় সাবেক স্ত্রীকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত এবং তার বাবার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ জানান।

সোমবার রাতে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মকরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটনায় নিহত রোকন মিয়া ওই গ্রামের তয়েজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, “আট বছর আগে রোকনের বোন সুমি বেগমের সঙ্গে পাশের সুবিদ গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে আবু সোফিয়ান মিজান মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে পাঁচ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। সাংসারে বনিবনা না হওয়ায় সুমি মিজানকে তালাক দেন। এরপর সুমি ঢাকায় গিয়ে একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন।তালাকের পরও সুমিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন মিজান। প্রতিবারই মিজানকে বাধা দিয়ে আসছিলেন রোকন।

“তিনদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সুমি। সোমবার সন্ধ্যায় বোন সুমিকে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে বাড়ি থেকে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনে যাচ্ছিলেন রোকন। পথে ইছলার বাজার-মকরমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে মিজান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে ভাইবোনকে আহত অবস্থায় পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।”

আহত সুমিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এদিকে রোকন ও সুমিকে কুপিয়ে জখমের পর মিজান তার সাবেক শ্বশুরের বাড়িতে গিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ির পাকা ভবন পুড়ে যায়। আগুন দেওয়ার পর নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিজান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাহিদুজ্জামান তালুকদার বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই রোকনের মৃত্যু হয়। আর বিষপান করায় মিজানের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, আগুনে পাঁচটি ঘর পুড়ে গেছে। মিজানকে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সুমির আরেক ভাই নিপোন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।