প্রতি বিঘা জমিতে এই লাউ চাষ করে ৪৫ থেকে ৫০ টন ফলন পেয়েছেন বলে ইমাম হোসেন জানান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক ইমাম হোসেন এ বছর প্রথম উচ্চ ফলনশীল লাউ ‘সুলতানার’ করেছেন। তার ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলক শুরু করেন এর চাষ।
সরজমিনে তার ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় ঝুলছে সারি সারি লাউ। কোনোটা বড়, কোনোটা মাঝারি, কোনোটা ছোট; আছে অনেক ফুলও।
লাউয়ের এম ফলনে কৃষক ইমাম হোসেনের মুখে হাসি ফুটেছে।
ইমাম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চারা লাগানোর ৫৫ দিনের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। ওজনে লাউগুলো কোনোটা ৩ কেজি, কোনোটা ৪ কেজি। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকার মতো।
মাঠ থেকে প্রতি পিছ লাউ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছেন; এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন, বলেন ইমাম।
এখানকার স্থানীয় কৃষক সুকুমার কপালী জানান, হাইব্রিড লাউ চাষ শুরু করার অল্প সময়ে ফল আসে। সুলতানার এই বাম্পার ফলন দেখে গ্রামের অন্যান্য কৃষকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার এর চাষ করার পরিকল্পনা করছেন।
এ বিষয়ে লাল তীর সীড লিমিটেড-এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী বলেন, “সুলতানা অধিক ফলনশীল আকর্ষণীয় ও এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সহনশীল। লাউটি হালকা সবুজ এবং লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার। আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত একটি লাউয়ের জাত এটি। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক এবং সারা বছর চাষ করা যায়। যার বিঘা প্রতি সুলতানার উৎপাদন হয় ৪৫ থেকে ৫০ টন।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, হাইব্রিড সুলতানা চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হয়েছেন। পরীক্ষণ খামারে এটি প্রমাণিত হয়েছে। এটি দেখে এখন অনেক কৃষক লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের লাউ চাষসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।