সিলেট সিটি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফউল্লাহ তাহের জানান, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জালালাবাদ থানায় এই মামলা হয়েছে।
তবে প্রশাসনের কে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন চলার মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফউল্লাহ বলেন, “মামলার এজাহারে অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান এবং আন্দোলনকারীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।”
ঢাকা থেকে আটক পাঁচজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন এবং স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হন। সে ঘটনায় পুলিশ ‘গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগ’এনে অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে উল্টো উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা অনশনে যান; ঘোষণা দেন উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার। সেই অনশন ধর্মঘট মঙ্গলবার সপ্তম দিনে গড়িয়েছে।