সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ যোগান দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব অর্থ যোগান তারা কিসের ভিত্তিতে দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
"আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব অর্থ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে থাকতে পারে বা করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না এমন বিষয়গুলো সামনে তদন্তে আসবে।"
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন এবং স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
ওই ভবনেই থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০০৮-০৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং একটি আইটি ফার্মের এমডি শাহ রাজী সিদ্দিকী। নিজেকের স্বপনের ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সোমবার রাতে তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে দুজনকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ খবর দেন।
যোগাযোগ করা হলে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গতকাল সন্ধ্যার পর ওদের উত্তরার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় সিআইডির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। ঘণ্টাখানেক তাদের মাইক্রোবাসে রেখে দেওয়া হয়, তখন আমরা কথা বলেছি তাদের সঙ্গে।
“সিআইডির কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন, শাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য তাদের ধরা হয়েছে।”
এদিকে সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কয়েকটি মোবাইল অ্যাকাউন্ট কাজ করছে না।
এ বিষয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।