এ জন্য তিনি কাউকে মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলাত সৃষ্টির অজুহাত দাঁড় করান বলে কয়েকজন বিজয়ী চেয়ারম্যান ও সসস্যের অভিযোগ।
অভিযোজকারীরা হলেন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক মামুন ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রউফ।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বিষটির তদন্ত হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণকারী আহসানুল হক মামুন বলেন, “নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পরও উক্ত নির্বাচন অফিসার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা বাতিল করার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১ম দফায় নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা এবং পরে আরও দুই দফায় নগদ ৫০ হাজার টাকা – মোট সোয়া দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।”
একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, “মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন সব কাগজপত্র চেক করে সবকিছু ঠিক বলে জানান। এর মাত্র দুদিন পর নির্বাচন অফিসার মোবাইল ফোনে আমাকে অফিসে ডেকে নিয়ে মনোনয়নপত্রের কোনো এক স্থানে স্বাক্ষর না থাকার কথা বলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে দুই দফায় নগদ মোট ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।”
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (সংস্থাপন-১) মো. জিলহাজ উদ্দিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান অভিযোগগুলো তদন্ত করেন।
তদন্তে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে তারা লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করার পর নির্বাচন অফিসারের ব্যাংক হিসাব তলব করেছেন।
ইউএনও তানজিলা কবির আরও বলেন, “তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরাও খতিয়ে দেখব।”
এ বিষেয় ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ এক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত হয়েছে। তবে এখনও চূরান্ত হয়নি, আরও তদন্ত হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তধীন আছে।”