উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন মেয়র কাজী আশরাফুল আজম।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে অতর্কিতে এই হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানান শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে প্রায় একশ লোক ঢাল, সড়কি, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে পৌরভবনে হামলা করে। তারা পৌরসভার জানালার কাচ ও চেয়ার ভাঙচুর করে। ভবনের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।
মেয়র আশরাফুল আজমের অভিযোগ, ওয়াহিদুজ্জামান শিকদারের লোকজন অতর্কিতে এই হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
তবে তিনি এ ঘটনার কোনো কারণ বলেননি।
তার অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “মেয়রের লোকজন আমার দুইজন লোককে মারধর করেছে। তবে পৌরসভায় হামলা-ভাঙচুরের জন্য আমার লোকজন দায়ী নয়।”
ঘটনার পর দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন ওসি রফিকুল ইসলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।