রোববার দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে তারা মনোনয়নপত্র নেন বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান।
মতিয়ুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেয়র পদে স্বতন্ত্র হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন, এটিএম কামাল মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
এছাড়া কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌসও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি জানান।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে সাখাওয়াত হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। দল যদি মনোনয়ন নেয় তাহলে নির্বাচন করব, আমাকে ছাড়া দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করব।”
দল কাউকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দিলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হবেন বলে জানান।
নারায়ণগঞ্জবাসীর ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তার পক্ষে রায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম প্রত্যাহার করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানান।
তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। এটি বিএনপির দুর্গ। তাই এই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। আমি সব সময় নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম। এবারের নির্বাচনেও মাঠে থাকব।”
সুষ্ঠু ভোট হলে নারায়ণগঞ্জবাসী ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস বলেন, তিনি কল্যাণ পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ৭৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন।
এবারও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বর্তমান মেয়র নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মনোনয়ন দেয়।
গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি। এবারের পুরো সিটি নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।