কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ নয়জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2021, 10:00 AM
Updated : 4 Dec 2021, 10:30 AM

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিসুর ভুঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান (সিএসই বিভাগ)।

সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার দেখা করে আসার পর বাসায় ফিরে মারা যান কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সেলিম।

অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তবে সেজান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সাময়িক বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন- তাহামিদুল হক ইশরাক (সিই বিভাগ), সাদমান সাকিব (এলই বিভাগ), রাগিব আহসান মুন্না (এলই বিভাগ), মাহমুদুল হাসান (সিই বিভাগ), মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান (এমই বিভাগ), রিয়াজ খান নিলয় (সিএসই বিভাগ), ফয়সাল আহমেদ রিফাত (এমই বিভাগ) ও নাইমুর রহমান অন্তু (এমএসই বিভাগ)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় ছাত্রশৃংখলা ও আচরণবিধির আলোকে অসদাচরণ এর আওতায় সিন্ডিকেট (জরুরি) সভায় শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর শুক্রবার কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অন্য দুই সদস্য ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কল্যাণ কুমার হালদার।

তবে আরিফুল ইসলাম ও কল্যাণ কুমার কমিটি থেকে পদত্যাগ করার পর নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।