পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা নামের ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।
রাজ্জাকের (৪৫) বাড়ি আংগারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর যাদবপুর এলাকায়।
শনিবার সকালে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, গত ৭ নভেম্বর রাতে আংগারিয়া ইউনিয়নের চর যাদবপুর পাকার মাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তারেরর লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে।
“ওই সময় আসমা আক্তারের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রজ্জাক গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
“সেখানে ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। “
ওসি বলেন, ওই সংঘর্ষের পরদিন আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বাবু মোল্লা মামলা করেন। আব্দুর রাজ্জাক মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের ছেলে বাবু মোল্লা বলেন, “নৌকা মার্কাও সমর্থন করায় অন্যায় ভাবে আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে। আমি তাদের বিচার চাই ।”
এদিকে শনিবার বেলা ১২টায় রাজ্জাকের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে তার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
আংগারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার কামাল, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান এতে উপস্থিত ছিলেন।