বুধবার শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত মাসুদ ব্যাপারী (৩৫) জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ইউনুছ ব্যাপারীর ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগের সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকালে মাসুদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাদের পরিচিত এক কলেজছাত্রীকে বাড়িতে আসতে বলেন। মেয়েটি ঘরের কাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাসুদের বাড়ি যান।
“সেখানে মাসুদের পরিবারের কাউকে না দেখে মেয়েটি ফিরে আসার চেষ্টা করলে মাসুদ তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন।”
মামলায় আরও বলা হয়, মেয়েটি মাসুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করেন। পরদিন জাজিরা থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রী। পহেলা জুলাই মাসুদ ব্যাপারীকে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন জানান, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসুদ ব্যাপারী ও শরীফ সরদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মামলায় ১৩ জন সাক্ষী এবং ৮ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে মাসুদ ব্যাপারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শরীফ সরদারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “শরীফ সরদারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ও মাসুদ ব্যাপারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন, এতে আমি খুশি হতে পারিনি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান (নজরুল) বলেন, “আসামিপক্ষ সংশ্লিষ্ট মামলার রায়ে সংক্ষুব্ধ ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের বিপক্ষে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।”