উখিয়ায় র‍্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধে মাদক কারবারি’ নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন, যাকে মাদক কারবারি বলছে র‌্যাব।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম ) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, রোববার ভোররাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) বালুখালী এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে।

জাহাঙ্গীর আলম একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের অন্যতম হোতা বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

নিয়াজ বলেন, ভোররাতে বালুখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে কিছু লোক মাদকের বড় একটি চালান নিয়ে আসার খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বালুখালী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার দিক থেকে ৫/৬ জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে আসতে দেখে র‍্যাব সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন।

“এতে তারা উপস্থিতি টের পেয়ে র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র‍্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।”

নিয়াজ বলেন, গোলাগুলির এক পর্যায়ে ‘মাদক কারবারিরা’ পালিয়ে যায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৭০ হাজার ইয়াবা, দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও তিনটি গুলি।

“পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

র‍্যাব কমকর্তা বলেন, "ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাহাঙ্গীর আলম একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। সে সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।"

তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের নামে মাদক ব্যবসার অভিযোগে উখিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে। তার স্বজনরাও মাদক কারবারে জড়িত। তিন মাস আগে তার এক বড় ভাই ১ লাখ ইয়াবাসহ এবং বছরখানেক আগে এক শ্যালককে ৩ লাখ ইয়াবাসহ র‍্যাব আটক করেছিল।

উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, রোববার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাতে র‍্যাব বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে এই ঘটনায় মামলা করেছে বলে জানান ওসি।