ভোলা শহরের গাজীপুর রোডের আজিজ বুধবার কনে আনতে যান সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী গ্রামে। বিয়ে বাড়ির খাওয়াদাওয়া শেষে বর আবার ঘোড়ার পিঠে চড়ে কনে সুমাইয়া আক্তার ইরাকে পালকিতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
বর মো. আনোয়ারুল আজিজ ভোলা শহরের গাজীপুর রোডের মো. আকবর হোসেনের বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করছেন।
আনোয়ারুল আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, আগে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ছিল পালকিতে কনে শ্বশুরবাড়ি আসবে। বর ঘোড়ার পিঠে করে বিয়ে করতে শ্বশুরবাড়ি যাবে। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা বিলীন হয়ে গেছে।
“তবে আমি আমার বিয়েকে স্মরণীয় রাখতে নিজে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যাই এবং কনেকে পালকিতে তুলে নিজে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বাড়ি ফিরি।”
ভোলা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বরের বন্ধু ইভান তালুকদার বলেন, “বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বিষয়টি দেখে অনুপ্রাণিত হবে। যারা বিয়ে করেনি তারাও এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করলে গ্রামীণ ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিয়েতে আসা কবির হোসেন বলেন, তিনি আগে তার দাদা-দাদির মুখে বর ঘোড়ার পিঠে চড়ে কনের বাড়ি থেকে কনেকে পালকিতে করে নিয়ে যায় এমন গল্প শুনেছেন। আজ নিজের চোখে তা দেখেছেন।
পালকীর মালিক মো. শরীফ জানান, তিনি কয়েক দিন আগে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে পালকি তৈরি করেছেন। এই প্রথম তার পালকিতে কোনো বউ শ্বশুরবাড়ি গেল। এটাই তাদের প্রথম ভাড়া।