রাজবাড়ীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যিনি এবারও নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে বানীবহ বাজার থেকে ফেরার পথে নিজের বাড়ি তিনশ গজ দূরে আক্রান্ত হন লতিফ। অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা পথ আটকে তার ওপর গুলি চালায়।

গুরুতর আহত লতিফকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন জানান।

তিনি বলেন, “ঘটনার পরপরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ ঘটানার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

মহিষবাথান গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, রাত ১২টার দিকে গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়।

“ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি লতিফ চেয়ারম্যান মাটিতে পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা কয়েকজন মিলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”

কাদের নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তিনিও রাতে গুলির শব্দ শুনে দুই ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। রাস্তায় লতিফ মিয়াকে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে আরও কয়েকজন এগিয়ে এলে লতিফকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লতিফ মিয়ার বাড়ি মহিষবাথান গ্রামের পুকুরচালা এলাকায়। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বলে ইউপি সদস্য লতা জানান।

তিনি বলেন, “এটা প্রতিপক্ষের কাজ কি না দেখা দরকার। কেন এই ঘটনা সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।”