সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সবুজের মৃত্যু হয়।
রাতেই সবুজের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভায়না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিন উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর (আনারস প্রতীক) ফারুকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষে সবুজ আহত হন।
সবুজ (৩৫) চলনা গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থক ছিলেন।
ওমর ফারুকের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিনের সমর্থকরা সোমবার সন্ধ্যায় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
“সেই সঙ্গে এলোপাতাড়ি গুলি করে ও বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা।”
এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সবুজকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানান ওমর।
এদিকে ওমর ফারুকের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন বলেন, “আমার লোকজন কোনো হামলা চালায় নাই। যিনি মারা গেছেন তিনি এক সময় আমারই সমর্থক ছিলেন। এখন তারা তাকে নিজেদের সমর্থক দাবি করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। ”