সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভায়না ইউনিয়নের চালনা বাজারে এই সংঘর্ষ হয় বলে সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান।
ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আমিন উদ্দিন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক। তাদের কর্ম-সমর্থকদের মধ্যেই এ সংঘর্ষ হয়।
আমিন উদ্দিন বলেন, রাতে তার কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে।
“চালনা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।”
আহতদের মধ্যে ভায়না গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে আলতাব শেখকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমিন উদ্দিন বলেন, “নৌকা প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।”
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক পাল্টা অভিযোগে বলেন, “নৌকা প্রতীকের মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার সময় চালনা বাজারে এসে আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের চেষ্টা করে। আমাদের লোকজন বাধা দিলে তারা মোটর সাইকেল ফেলে রেখে চলে যায়।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তার সমর্থকদের মধ্যে হাচেন আলীর ছেলে সবুজ, হোসেন প্রামানিকের এর ছেলে আব্দুস ছালাম, সোহরাবে ছেলে আকমল এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবুজকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
“পুলিশ এসে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সকালে আমি থানায় ও নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দেব।”
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, “আমরা সবধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা কাজ করছি।”
সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”