বর্ষার শুরু থেকে এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়; বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পরও এই জালে মাছ শিকার বন্ধ নেই।
কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ ধরা হচ্ছে অবাধে।
সরেজমিনে উপজেলার খাঁসেরহাট, মিয়ারহাট, সমিতিরহাট, কালকিনি পুরান বাজার, শশিকর হাট ও গোপালপুর হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কারেন্ট জাল প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করে একাধিক ক্ষুদ্র জাল ব্যবসায়ী বলেন, কালকিনি উপজেলার কারেন্ট জালের বড় ব্যবসা কেন্দ্র শহরের পুরান বাজার। এখান থেকে প্রতিদিন কারেন্ট জাল ছোট ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে কিনে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা দামে বিক্রি করেন।
কালকিনির খুচরা ব্যবসায়ী আবুল বলেন, “কারেন্ট জাল বিক্রি অবৈধ কিনা জানি না। তবে অনেকেই বিক্রি করেন। তাই আমিও করছি।”
বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের আউলিয়ারচর গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, “বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষ কারেন্ট জাল কিনে খাল-বিল, নদী-নালায় ব্যাপক হারে মাছ ধরছে। এভাবে ধরলে মাছের বংশ বিস্তার হবে না “
কালকিনি উপজেলা মৎস্য সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল করিম ফরাজী বলেন, এ উপজেলায় আড়িয়ালখাঁ ও পালরদী নদীসহ অসংখ্য খাল-বিল রয়েছে। এসব নদী ও বিলসহ ছোট-বড় সব জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে সব ধরনের মাছ ধ্বংস করা হচ্ছে।
“নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে এসব জাল পাওয়ার কারণে মানুষ অজান্তেই মৎস্য সম্পদের বিরাট ক্ষতি করছে।”
কালকিনি উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, “কারেন্ট জাল বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই আমরা এ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করব।”