তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে বর্ডারে আমরা একটা লোকও মারব না। মায়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারে আমরা গুলি চালাতে চাইনা। কিন্তু অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।”
মঙ্গলবার সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল তাদের মিয়ানমার ফেরত নিয়ে গেছে। ১৯৯২ সালে ২ লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা এসেছিল। পরে ২ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে যায় মিয়ানমার।
তবে এবারের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ১১ লাখ। তাদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার।
রাখাইন নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিবুল্লাহ রাখাইনে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিল। সে ভেবেছিল বাংলাদেশে নয়; রাখাইনেই তাদের সুন্দর ভবিষৎ রয়েছে। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
এ হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসও দেন তিনি।
অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায় ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।