সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে; পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও বাড়ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 11:36 AM
Updated : 2 Sept 2021, 11:36 AM

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাধ হার্ডপয়েন্টসহ সকল বাধ এলাকায় পাউবির নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। বাধগুলোতে এখনও তেমন কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।”

আরও কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা এ পাউবির এ কর্মকর্তার।

এদিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাদি জমি, রাস্তা-ঘাট ও বসতবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশকিছু কাঁচা-পাকা রাস্তা; ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্রিজ ও কালভার্ট। এ অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর  জীবনযাপন করছেন।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ভাঙন কবলিত মানুষের জন্যে তারা সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে বিতরণের কাজ চলছে।

কাজিপুরের খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, সানবান্দা এলাকায় গত ৫/৬দিন ধরে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বেশকিছু আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, জেলায় বন্যায় ৫ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।এর মধ্যে রোপা আমন, বোনা আমন, সবজি, আখ ও বীজ তলা রয়েছে।

এছাড়াও শাহজাদপুর, কাজিপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর ও  চৌহালী উপজেলার নতুন নতুন আবাদি জমিতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, জেলার ৫টি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ২০০ টন করে চাল ও নগদ ১ লাখ করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭২১ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রয়েছে।

এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় সহায়তা প্রদানে মেডিকেল টিম গঠন এবং দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে সিরাজগঞ্জের সির্ভিল সার্জন ড. রামপদ রায় জানান।