সোমবার সকালে শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া মহল্লা ও গোদাগাড়ী থানার কালাদিঘি গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- নওদাপাড়া এলাকার নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমান (৭৫) ও গোদাগাড়ী থানার দেওপাড়া ইউনিয়নের চাপাল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মাছ চাষি মাসুদ আলী (৪২)।
তাছাড়া লিটন আলী (৩৬) নামে মাসুদের এক সহকারীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম খান বলেন, নওদাপাড়া বাজারে মহাসিনা নিপার অটোরিকশা গ্যারেজে নৈশপ্রহরী ছিলেন আনিসুর রহমান। সকালে গ্যারেজের ভেতর তার হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
“গ্যারেজ থেকে শহরের ছায়ানি এলাকার ইয়াছিন আলীর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও গ্যারেজ মালিকের অটোরিকশার জমার এক দিনের টাকা খোয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আনিসুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অটোরিকশা ও টাকা নিয়ে গেছে খুনি।”
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, সকালে কালাদিঘি এলাকার একটি পুকুরপাড়ের টিন শেডের ঘরে মাছ চাষি মাসুদ আলীর লাশ পড়ে থাকার খবর আসে। সেখান থেকে লিটনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারও হাত-পা বাঁধা ছিল।
“রাতের কোনো একসময় দুইজনকে জাল দিয়ে হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এতে মাসুদ মারা যান। কিন্তু লিটন কোনোভাবে বেঁচে যান।”
দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।