মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট শহরের কেবি মাছ বাজারের অনুপ বিশ্বাসের আড়তে মাছটি নিলামে ৫২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী জাকির সরদার ও হাফিজ শেখ এই শাপলাপাতা মাছটি নিলামে কিনে নেন।
পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের খানজাহান আলী মাজারের হাটে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করা হয়।
সামুদ্রিক এই মাছ দেখতে গোলাকৃতির হয়ে থাকে। খেতে খুব সুস্বাধু বলে এটির জনপ্রিয়তাও আছে।
পাঁচ দিন আগে সাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মাসুমের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে জানিয়েছেন আড়ৎ মালিক অনুপ বিশ্বাস।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী জাকির সরদার ও হাফিজ শেখ বলেন, দশ মন ওজনের এই মাছটি আড়তে ওঠানো হলে তা তারা ৫২ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। মাছটি মাজারের হাটে বিক্রি করা হয়েছে।
অনুপ বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরা একটি ট্রলারে বিশাল আকৃতির এই শাপলাপাতা মাছ কেবি মাছ বাজারে আনা হয়। এর ওজন দশ মন। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মাসুমের ফিসিং ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
“এই মাছ কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা উন্মুক্ত ডাক তুললে তা সাড়ে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।”
মাছটি কেনার পর ব্যবসায়ীরা মাজার হাটের আশপাশে মাইকিং করে তা বিক্রি করেন। হাটে মাছটি তোলার পর দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করেন।