বুধবার রাত ১টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির প্রয়াত আবদুল লতিফের ছেলে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তারের পর তাকে ওই থানায় রাখা রয়েছে। পরে তাকে নোয়াখালী ফেরত আনা হবে।
বুধবার পুলিশ হেফাজতে রেখে ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় একটি হোটেল থেকে দেলোয়ারসহ দুই আসামি পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া অপর অসামি সোনাইমুড়ীর বাট্টা এলাকার মজা মিয়া বেপারী বাড়ির প্রয়াত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৪)।
পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গাজারিয়া থানায় বুধবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসপি মো. সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলা কারাগারে থাকা আসামি আসামি মো. জুয়েল ও দেলোয়ার হোসেনকে বুধবার আদালতের নির্দেশে ঢাকার মালিবাগের সিআইডি অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার পর ঢাকা থেকে তাদের নোয়াখালী ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল।
ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় হাইওয়ে সড়কের পাশের আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবারের সময় আসামিরা শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন। তখন পুলিশ পাহারায় তারা হোটেলের শৌচাগারে যান।
সেখান থেকে কৌশলে তারা পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সোনাইমুড়ি থানার এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এই ঘটনায় তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।