শনিবার রাতে এ ঘাট দিয়ে আটটি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হয় বলে কর্তপক্ষ জানায়।
লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলায় দুর্ভোগে পড়া শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে রোববার সারাদেশে বাস ও লঞ্চ চালুর ঘোষণা দেয় সরকার।
শনিবার দিনভর ঢাকামুখী শ্রমিকদের বিড়ম্বনা দেখার পর রাতে এক তথ্য বিবরণিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত জানায়।
এতে বলা হয়, “রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
তার আগে নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত জানায়।
এদিকে রোববারও শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখো যাত্রী ও গাড়ির চাপ দেখা গেছে। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন। জনপ্রতি ৭০ টাকার ভাড়া আদায় করা হচ্ছ ১২০ টাকা।
লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, ৮৭ লঞ্চের মধ্যে চলছে ১৫ টি। স্টাফ ছুটিতে থাকায় বাকি লঞ্চ চালু করা যাচ্ছে না।
বিআইডবব্লিটিসির সহকারী ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান জানান, বহরে ১৮ ফেরির মধ্যে চলছে ৮টি ফেরি। তবে পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় পরাপারে সময় লাগছে বেশি।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, “শনিবার রাতেও ৮টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করে। আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে পারাপার হয়। কিন্তু যাত্রীরা মানতে নারাজ।”
গণপরিবহন চালু ঘোষণায গার্মেন্টসে চাকরিজীবী ছাড়াও অনকে ঈদ শেষে রাজধানী ফিরছেন।