তবে পুলিশের দায়ের করা এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হাসেমের চার ছেলের মধ্যে বাকি দুজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি করে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুন বুধবার এ আদেশ দেন।
চার দিনের রিমান্ড শেষে এই আট আসামিকে বুধবার আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে বিচারক হাসেমের দুই ছেলে তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহীমের (২১) জামিন মঞ্জুর করেন।
আর সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসেম, তার বাকি দুই ছেলে হাসীব বিন হাসেম (৩৯) ও তারেক ইব্রাহীম (৩৫), সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানশাহ আজাদ, হাসেম ফুডসের উপমহাব্যবস্থাপক মামনুর রশীদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজিম ইব্রাহীম বিদেশে পড়ালেখা করতেন। তারা কোম্পানি পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন না। সে কারণে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে।
গত বৃহস্পতিবার ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকোণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, যাদের অনেকে আবার শিশু।
ওই ঘটনায় রূপগঞ্জের ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন মজুমদার গত শনিবার হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২ ও আরও কয়েকটি ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরপরই হাসেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর কথা জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে।
তাদের নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হলে বিচারক চার দিন করে পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন সেদিন।
আরও পড়ুন-