লকডাউন শিথিলের আগেই শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল

টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের শেষ দিনে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে ঢল নেমেছে মানুষের।

ফারহানামির্জা, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2021, 12:38 PM
Updated : 14 July 2021, 12:41 PM

বুধবার শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উভয়মুখী যাত্রীর আসা-যাওয়ায় মুখোর ছিল ঘাট এলাকা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোভিডে মৃত্যু ও সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে এ ভিড়ভাট্টা দেখা গেল।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, “আগামীকাল থেকে লকডাউন শিথিল হলেও বুধবার থেকেই ঘাটে চাপ দেখা যাচ্ছে।”

পার্কিং ইয়ার্ডে দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মাওয়া নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ভিড় ততই বাড়ছে শিমুলিয়া ঘাটে। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে চেকপোস্ট থাকার পরও কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না জনস্রোত।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক সুপারিন্টেন্ডেন্ট (টিএস) মেহেদী হাসান জানান, লকডাউন শিথিল করার ঘোষণায় হয়তো চেকপোস্টে কড়াকড়ি কমে গেছে। সেজন্য বুধবার ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে এ রুটে লঞ্চ এবং ট্রলার চলাচল শুরু পরিকল্পনায় কাজ করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, যানগুলোতে শ্রমিকেরা পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট, লঞ্চ এবং ট্রলার মালিক-শ্রমিকদের মধ্যেও চাঞ্চল্য দেখা গেছে।

যাত্রীরাও জানিয়েছেন, চেকপোস্টগুলোয় আগের মতো কড়াকড়ি নেই। কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ও বাধা ছাড়াই ঘাটে আসছে যাত্রীরা।

লকডাউন ওঠার আগেই কেন বাড়ি ফিরছেন জানতে চাইলে ফরিদপুরের ভাঙাগামী যাত্রী আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন না থাকায় অনেক ভিড় হবে। ‘তাই একদিন আগেই গ্রামে ফিরছি।’

বরগুনা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী মালেক দেওয়ান বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত জরুরি কাজ থাকায় লকডাউনের মধ্যেই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। কাজ শেষ করে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।”

বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহম্মেদ আলী জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে পদ্মার প্রবল স্রোত মোকাবেলা করে বহরের ১৭ ফেরির মধ্যে ১৩টি চলাচল করতে পারছে।

বিআইডব্লিউটিসির ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স জরুরি পরিষেবার যান ছাড়াও মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেল পারাপার হতে এদিন দেখা গেছে। আর নানা বিড়ম্বনা মাড়িয়ে ছোট ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া মিটিয়ে ভেঙে ভেঙে মানুষ আসছে ঘাটে।

চব্বিশ দিন বন্ধ ধাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।