এ বাড়ির ক্রেতা প্রতিবেশী শাহিনুর আলমকে বাড়িটি বুঝিয়ে দিতে গত শুক্রবার সেখান থেকে নতুন বাড়িতে মালামালও সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সে রাতেই ওই বাড়িতে ‘নিঃশব্দে’ খুন হন হোসেন আলী যাদু।
পরদিন লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের স্ত্রী, দুই ছেলে এবং ছোট ছেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার বিকেলে নিহতের স্ত্রী ও বড় ছেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন বলে জানান নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী।
তিনি বলেন, নীল কুঞ্জ পাড়ার এ বাড়ির খুনের ঘটনাটিতে ‘ধোয়াশাঁ ছিল’। ওই বাড়ির ক্রেতাকে ফাঁসিয়ে সাড়ে নয় লাখ টাকা আত্মৎসাতের জন্য এ খুন করার কথা জিজ্ঞাসাবাদে শেষমেশ স্বীকার করেন নিহতের স্ত্রী এবং বড় ছেলে।
রোববার বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়ার পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাতে বড় ছেলে মতিয়ার রহমানের (৩০) সহযোগিতায় সুফিয়া বেগম (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্বামীর বাম হাতের কনুই কেটে বারান্দায় ফেলে রাখেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতের কথা এলাকায় প্রচার চালান তারা।
হত্যায় সম্পৃক্ত না থাকায় ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন।