আক্রান্ত কয়েকজন মারা গেছে বলে স্থানীয়রা জানালেও সরকারিভাবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থাস্থ্য বিভাগের ভাষ্য, খবর পেয়ে এসব এলাকায় মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে আসার পর জানা যাবে ডায়রিয়া নাকি অন্য কোনো কারণে ঠিক কতজন মারা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংস্ইুপ্রু মারমা জানান, খবর পেয়ে ইতিমধ্যে আক্রান্ত এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সেনাববাহিনীর দুইটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।
“অত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে ঠিক কতজন মারা গেছে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মেডিকেল টিম ফিরে না আসা পর্যন্ত বলা যাবে না ঠিক কী কারণে এবং কতজন মারা গেছে। তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর শুনেছি।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুরুকপাতা ইউনিয়নে মাংরুম পাড়া, ম্যানলিউ পাড়া ও সমথং পাড়ায় কয়েক দিন যাবত ‘কলেরার’ প্রভাব দেখা যায়। এসব পাড়ার ম্রো জনগোষ্ঠী ১৩৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আক্রান্ত হয়েছে।
এরা ওই এলাকার ম্রো জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬০ ভাগ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন নারী ও পুরুষ ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।”
আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে আক্রান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাই ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোমবার দুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর এবং আলীকদম উপজেলার স্থাস্থ্য বিভাগের দুটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
কুরুকপাতা সদর ইউনিয়ন থেকে একেকটি পাড়ায় পৌঁছতে অন্তত দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগে।
“কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো ‘ডায়রিয়া’ আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের মৃত্যুর তালিকা দিয়েছেন,” বলেন সাংবাদিক সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা।
তালিকায় চেয়ারম্যান যাদের নাম দিয়েছেন তারা হলেন মাংরুম পাড়ার মাংদম ম্রো, ঙানলি ম্রো ও রেংচং ম্রো এবং ইয়ুংচা পাড়ার রামধন ম্রো, তুমলত ম্রো ও কাইসার ম্রো । বাকি দুজন হলেন কচ্ছপ ঝিরি এলাকার জংরুং ত্রিপুরা এবং মেনলিউ পাড়ার চিংলে ম্রো।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্গম এলাকার বেশিরভাগ লোক ছড়া ও ঝিরির পানি ব্যবহার করে। বৃষ্টি হলে এসব জমানো পানি ময়লা ও দূষিত হয়ে পড়ে। এসব পানি খেলে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।