সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম রেজাউল করীমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনা তদন্তে পুলিশ বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় রায় বলেন, দুপুর সোয়া ১টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার এই মামলার একমাত্র আসামি সৌমেন রায়কে আদালতে হাজির করেন।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সৌমেনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার সকালে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে গুলিতে নিহত হন কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের বাসিন্দা মেজবার খানের ছেলে বিকাশ কর্মী শাকিল খান (২৮), নাথুরিয়া বাশগ্রামের বাসিন্দা আমির আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (৩৪) এবং আসমার ছেলে রবিন (৭)।
আসমা খাতুন এই মামলার আসামি সৌমেন রায়ের স্ত্রী। আসমার আগের স্বামীর ছেলে হলো রবিন।
সোমবার সকালে তিন জনের মরদেহের জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে তাদের নিজ নিজ গ্রামে। রোববার গভীর রাতে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এই হত্যার ঘটনায় আসমার মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার।
“এছাড়া সৌমেন রায়ের বাড়িতে বিবাহিত স্ত্রী ও সন্তান আছে। এসব ঘটনার মধ্যে কার সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
তিনি আরও বলেন, ডিউটিতে থাকা অবস্থায় দাপ্তরিক অনুমোদন ছাড়া একজন পুলিশ সদস্য সরকারি অস্ত্র নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়া এসে কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন; সে বিষয়ে কার কতটুকু দায় বা কর্তব্য কাজে অবহেলা ছিল সবকিছু খুঁটিনাটি বিশ্লেষণসহ তদন্ত করা হবে।
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, “বিষয়টি তদন্ত করতে কুষ্টিয়া ও খুলনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।