শহরের হোসেনপুর পুটিয়াবাড়ি এলাকায় গত সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
গত ১৪ মার্চ হোসেনপুর পুটিয়াবাড়ি এলাকার সেলিম সেখের ছেলে নুর আলমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী মিরপুর মহল্লার ওই কিশোরীর বিয়ে হয়।
সদর থানার এসআই মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিয়ের দুই দিন পর মেয়েটি তার বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে গত ৩১ মে তার মা তাকে আবার স্বামীর বাড়ি রেখে আসেন।
“এরপরই স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও জা মিলে তাকে মারপিট করে চুল কেটে দিয়েছে। ওইদিনই মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।”
এসআই মেহেদী আরও বলেন, “অভিযোগ পাওয়া পর ওই ছেলের বাড়ি গিয়েছিলাম, কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।”
সদর থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, “মেয়েটিকে নির্যাতন করে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দায়ের করা অভিযোগটি আজই মামলা হিসাবে এট্রি হবে।”
এই বিষয়ে এলাকায় কর্মরত এনজিও এনডিপির সহকারী ম্যানেজ্যার (প্রতিবন্ধী ও শিক্ষা) শিপন চন্দ্র নাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী আজই (বুধবার) ওই নির্যাতিত মেয়েটির বাড়ি গিয়েছিলাম। মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছে তার বাল্যবিয়ে হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “মেয়েটির মা বলেছে মেয়ের বয়স ১৭ বছর। মেয়েটির সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও ছেলেটিকে সে অপছন্দ করত। বিষয়টি বুঝতে পেরে বরসহ তার স্বজনরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করায় বিয়ের দুইদিন পরই মেয়েটি তার বাবার বাড়ি চলে যায়।”
সেখানে অবস্থানকালে শ্বশুর বাড়িতে মাঝেমধ্যে বরের যাতায়াত ছিল বলে মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানান, বলেন তিনি।
তার এনজিওর পক্ষ থেকে দরিদ্র এই নির্যাতিত পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান শিপন।