জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কয়েক ঘণ্টা নদ-নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই সময় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পায়।
তিনি জানান, কলাপাড়ার লালুয়া, নিজামপুর, চম্পাপুর, রাঙ্গাবালীর চর মোন্তাজ, চর আন্ডা, চালিতাবুনিয়ার চরলতা, গলাচিপার আউলিয়াপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি গ্রামে ঢুকে পড়েছে।
“স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বেড়েছে; তবে ভাটার সময় পানি একটু কমে গেলেও সন্ধ্যার পর জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।”
তিনি জানান, এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এসব এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ৭০-এর পর ইতিপূর্বে কখনও এমন ভয়াবহ পানি হয়নি। পানির তোড়ে মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের চরলতা বেড়িবাঁধের ৭টি পয়েন্টের প্রায় ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এসব বেড়িবাঁধ দিয়ে এবং পূর্বের ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত দিয়ে প্রবল বেগে জোয়ারের পানি ঢুকে চালিতাবুনিয়ার সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের ৯ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৫২টি মুজিব কিল্লা, ৯৩টি মেডিকেল টিম, খাবার স্যালাইন ৫০ হাজার, ডায়রিয়ার স্যালাইন ৩৫ হাজার, এক লাখ টাকার শিশুখাদ্য, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দুটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সবকটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।