বান্দরবানে আগুনে পুড়েছে ৭০ ঘর

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভয়াবহ আগুনে ৭০টি ঘর পুড়ে গেছে।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2021, 07:46 AM
Updated : 18 May 2021, 07:46 AM

রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জানান, তার উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে তালুকদার পাড়ায় সোমবার রাত ১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ওই পাড়ার মাঝখানে একটি বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুতই তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং ৭০টি ঘর পুড়ে যায় বলে জানান তারাছা ইউপি চেয়ারম্যান উথোয়াইচিং মারমা।

তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায় নি। 

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘ঘরগুলো খুব কাছাকাছি ও ঘন বসতি হওয়ার কারণে দ্রুতই সব পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো পাড়ার সরকারি প্রাইমারি স্কুলে এবং এর পাশে একটি খোলা মাঠে তাবু খাটিয়ে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে নিয়েছে।’’

এ পাড়ার বাসিন্দা চাইহ্লাউ মারমা ও মংহাই মারমা জানান, গভীর রাতে আগুন লাগলে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরগুলো দ্রুত পুড়ে যায়। ঘরগুলো বেশির ভাগ গাছ ও বাঁশের তৈরি; আবার কিছু ঘর রয়েছে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। এ কারণে ঘরগুলো দ্রুত পুড়েছে।

হ্লামাচিং মারমা বলেন, “আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে বাচ্চাদের কোলে নিয়ে বের হয়ে যাই। তাই এ সময় ঘরের কোন জিনিসপত্র বের করতে পারিনি। ক্ষতিগ্রস্থদের সবাই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।”

এদিকে পাড়াপ্রধান কারবারী মংপু মারমা জানান, পাড়ার ৮৯টি পরিবারের মধ্যে ৭০টি বসত ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত  হয়েছে। তবে পাড়া থেকে কিছুটা দূরে হ্ওয়ায় ১৯টি ঘর রক্ষা পেয়েছে।

এ পাড়াটি অন্তত দেড়শ বছরে পুরনো বলেও জানান তিনি।

এদিকে পাড়ার ঢোকার মুখের একটি ব্রিজের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেতে পারেনি বলে রোয়াংছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হক জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্রিজের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাড়ায় ঢুকতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যেত।’’

এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ৭০টি পরিবারকে নগদ তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলে রোয়াংছড়ি ইউএনও আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জানান। 

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে ৩০ কেজি চাল এবং দুই বান্ডিল করে ঢেউটিনও দেওয়া হবে।