বৃহস্পতিবার সকালে এসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
লালমনিরহাট
জেলার কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা, সুন্দ্রাহবি, বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদ উদযাপন করে আসছে কিছু মানুষ। সকালে তারা ঈদের নামাজ পড়ার সময় নিরাপত্তার জন্য দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি ঘোষণা করলেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগই মাস্ক না পরে, গাদাগাদি করে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন।
মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইমান আলী বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আসতে বলা হয়েছে। তা কেউ মানেনি।, মানুষ না মেনে চললে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।”
আগাম ঈদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোরান থেকে জেনেশুনে এই ঈদ আমরা পালন করে আসছি। এখানে কোনো ভুল নেই।”
কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সীপাড়ার ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্ বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় ১০ বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে আসছে। সেই হিসেবে আজ ঈদ হয়েছে।”
চাঁদপুর
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত হয়েছে। জামাতে ইমামতি করেছেন মওলানা আরীফ চৌধুরী।
হাজীগঞ্জ ছাড়াও ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলা মিলে ডজন খানেক গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
শেরপুর
এসব গ্রামে সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের জামাত হয়েছে।
ফরিদপুর
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ১৩ গ্রামে ঈদের জামাত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, “শেখর ইউনিয়ন ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের নামাজ পড়েছেন।”
তিনি বলেন, “এসব গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করে আসছে।”
এর আগে বুধবার পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুরে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।