‘জিডি করায়’ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

মারধর ও হুমকির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর ঠাকুরগাঁও শহরে বাড়িতে ঢুকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 10:15 AM
Updated : 25 April 2021, 10:15 AM

শনিবার রাতে শহরের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে হাজীপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধূ (২৯) হাজীপাড়ার বাসিন্দা; তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

ওই গৃহবধূর স্বামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার বড়ো ভাই মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত বছরের ১২ নভেম্বর তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে ঠাকুরগাঁও শহরের বড়মাঠে নিয়ে যান বড়ো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান।

এরপর বড়ো ভাইসহ তার লোকজন ওই গৃহবধূকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেন, মারধর করেন এবং ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন বলে ওই গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ।  

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মোস্তাফিজুর রহমানসহ চার জনের নামে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি তদন্ত করে পুলিশ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। আগামী ২৯ এপ্রিল মোস্তাফিজুর রহমানসহ বাকিদের আদালতে হাজির থাকতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, “আমার স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিডিকে ঘিরে শনিবার রাত ৮টার দিকে বড়ো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ও চাচা আব্দুল কুদ্দুস শাহ আমাদের বাড়ি আসেন। এরপর তারা আমার স্ত্রীকে একা পেয়ে মারধর করেন এবং তার স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন।”

ওই নারী চিৎকার দিলে মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দাস শাহ পালিয়ে যান বলে তার স্বামীর ভাষ্য।

ঘটনার সময় তিনি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, নামাজ শেষে ফোনে ঘটনার খবর জানতে পারেন তিনি। এরপর স্ত্রীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।  

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আফরিনা মল্লিক বলেন, “রাতে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা ও বাচ্চার অবস্থা ভালো ছিল না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

এই বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুর ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি; তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মোস্তাফিজুর রহমান পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী বাজার এলাকার প্রয়াত আব্দুল আজিজ শাহর ছেলে ও তার চাচা আব্দুল কুদ্দুস শাহ একই গ্রামের প্রয়াত হাচিম উদ্দীন শাহর ছেলে। আব্দুল কুদ্দুস শাহ বর্তমানে ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়ায় বসবাস করছেন।