কক্সবাজারে টাকা ছিনতাইয়ে গ্রেপ্তার তিন পুলিশ রিমান্ডে

কক্সবাজার শহরে টাকা ছিনতাই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2021, 06:02 PM
Updated : 2 March 2021, 06:02 PM

দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুন্যালের বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে ধরে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার কর।

গ্রেপ্তাররা হলেন এসআই নুর হুদা সিদ্দিক, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা। এরা সবাই কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

রফিকুল জানান, সোমবার রাতেই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার বিকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর থানার এসআই আব্দুল মাজেদ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়। দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুন্যালের বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার তিন আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, “সাদা পোশাক পরা পুলিশ সদস্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

স্থানীয়দের বরাতে রফিকুল জানান, সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমদের বাড়িতে ঢুকে ৫/৬ জনের একটি দল। এরপর তার স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

“দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় রোজিনা শোর-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা একজনকে ধরে ফেলে। পরে ওই বড়ির লোকজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আরও দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় ” 

এই ঘটনা সম্পর্কে রোজিনা খাতুন বলেন, কক্সবাজার সদরের খুরুশকূলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গ্যাসের দোকান করার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছ তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাসায় জমা রাখেন।

“এই টাকাগুলো ছিনিয়ে নিতে পুলিশের তিন জন সদস্য সাদা পোশাকে আমাদের বাড়ি ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে। পরে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকাগুলো লুট করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা একজনকে ধরে ফেলে।”