শুক্রবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিলেট থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“এতে ঘটনাস্থলেই ছয় জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যায় আরও দুজন।”
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সালমান খান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল আমিন (৫), ঢাকার ওয়ারীর সাগর হোসেন (১৯), সিলেটের ওসমানীনগরের ধরখা গ্রামের মনজুর আলী (৩৮), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ডা. ইমরান খান রুমেল (৩৬), সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার শাহ কামাল (৪৫) এবং সুনামগঞ্জের ছাতকের রহিমা বেগম (৩০)।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
স্থানীয়রা জানান, লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটি দ্রুত গতিতে এগোতে গিয়ে ভুল লেইনে চলে যাওয়ায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা হয়।
বাসটি রশিদপুর সেতু পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা বাসের সামনে পড়ে যায়। তাতেই পূর্ণ গতিতে থাকা দুই বাসের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ ঘটে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বার বার গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে বেপরোয়া গতিতে ‘ওভারটেক’ করছিলেন। যাত্রীরা কয়েকবার সতর্ক করার পরও চালক কানে তোলেননি।
সিলেটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের লেইনে। লন্ডন এক্সপ্রেসের গাড়িটি ওই লেইনে যাওয়ার কথা নয়।
“প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মনিরুল বলেন, “আজ সকালে তেমন কুয়াশাও ছিলো না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে এনার গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি না, সেটাও দেখার বিষয় আছে।”