বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. জহিরুল হক বলেন, আচরণ বিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর পাঁচটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প থাকতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ৫০টিরও বেশি ক্যাম্প করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে লোক এনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে শোডাউন করছে।
নির্বচনে প্রশাসনের আচরণ পক্ষপাতমূলক অবিহিত করে তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে।
“আমার কর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই।”
এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলছেন তিনি।
জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, পৌরসভা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ১২ ধারা মতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী পাঁচটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করতে পারবে না।
“বিএনপির প্রার্থী জহিরুল হক খোকন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক ভুইয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আমাকে লিখিত অভিযোগ করেছেন।”
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আচরণ বিধি যেন লঙ্ঘিত না হয় সেজন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নায়ার কবির বলেন, “আমার নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস পাঁচটিই রয়েছে।
“তবে আওয়ামী লীগের কিছু অফিস রয়েছে যা আমার নির্বাচনী অফিস বা ক্যাম্প নয়” যোগ করেন তিনি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।