মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর ১ নম্বর এন্ট্রি-এক্সিট পয়েন্টে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে এক পতাকা বৈঠক শেষে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে চট্টগ্রাম, বান্দবান, রাঙ্গামাটি ও রাজশাহীর নাগরিক রয়েছেন।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সে দেশের কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এমন ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এ পতাকা বৈঠকে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খানের নেতৃত্বে বিজিবির নয় সদস্য এবং মিয়ানমারের ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জউ লিন অং এর নেতৃত্বে বিজিপির সাত সদস্য অংশ নেন।
দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটি ঘাট দিয়ে ওই ২৪ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত এনে টেকনাফের ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এ অধিনায়ক।
যারা ফেরত এলেন
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জুনায়েদ, জালাল আহমদের ছেলে মো. সিরাজুল্লাহ এবং উলুবনিয়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রুবেল, লম্বাবিল এলাকার মোহাম্মদ ইসমাঈলের ছেলে আব্দুল কাদের এবং জাকির আহমদের ছেলে অলি আহমদ।
বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার কুহালং এলাকার ক্যচিং মং মারমার ছেলে চাই চাই প্রু মারমা, জহির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সাদেক এবং উথেইচেন মারমার ছেলে পুকুয়েটসে মারমা।
রাঙ্গামাটির জেলার কাউখালী উপজেলার ধুবুয়া লামারপাড়ার চাইরুই মারমার ছেলে পাইচেহ্লা মারমা ও টুইকাহার ওরফে সানসু মারমার ছেলে মংচিং মারমা, কুলারপাড়ার থৈইনু মারমার ছেলে থৈঅংরী মারমা, পূর্ব সোনইছড়ি এলাকার চাইথৈয়াইউ মারমার মেয়ে অঞ্জনা মারমা, আগ্রা মারমার ছেলে উচিংনু মারমা, পশ্চিম মোনাইপাড়ার থৈসামং মারমার ছেলে কংচিংউ মারমা, দোছড়িপাড়ার উশোপ্রু মারমার ছেলে সাথোয়াইমং মারমা এবং পাওপাড়ার মংসা মারমার ছেলে থৈয়াইপ্রু অং মারমা।
এছাড়া রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার মধুখালী এলাকার মো. ইয়াসিনের ছেলে মো. সাবুর তাদের মধ্যে রয়েছেন।