সোমবার সকালে জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আবু সাইদ ইমাম।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জুয়েল মিয়া (৩৫) বড়মাইপাড়া গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। তিনি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মাহবুব হাসান, জজ মিয়া, রহিমা খাতুন, সাইফুল ইসলাম এবং কাকন মিয়া। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় দেননি এপিপি।
এপিপি আবু সাইদ ইমাম জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম এবং কাকন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সনের ২২ জানুয়ারি বিকালে বাজিতপুর উপজেলার বরমাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন রাস্তায় বাথরুম নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ বিরোধের জেরে আসামিরা ছিদ্দিক মিয়াকে (৩৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে ছিদ্দিক মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মানিকুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও প্রদান করা হয়েছে এ রায়েছ।
মামলাটিতে আসামি পক্ষে পরিচালনায় ছিলেন আইনজীবী অশোক সরকার।