বুধবার গভীর রাতে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ওই নারীর স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহত শিপলু বেগম (৫০) পশ্চিমপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের (৫৫) স্ত্রী। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
ওই গৃহবধূর বোন রুনা বেগম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার বোনকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিলেন শহিদুল। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।
“স্বামীর মারপিট সহ্য করতে না পেরে অনেক সময় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে শিপুল আমাদের কাছে স্বামীর নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে শহিদুল তাকে বেদম মারপিট করে।”
রুনা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামীর পরিবারে লোকজন তড়িঘড়ি করে তাকে দাফনের চেষ্টা করেছে।
“খবর পেয়ে আমরা লাশ দাফনে বাধা দেই। পরে পুলিশে এসে লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আমার বোনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমর বোনকে শহিদুল হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী বলেন, ওই গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক। তাই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
তিনি জানান, এই ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। তখন পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।