বুধবার বিকালে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে একটি পক্ষ দাবি করলেও তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানা যায়নি।
সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, সভাপতি পদে তিনিসহ চারজন প্রার্থী ছিলেন্।
তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থীদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর প্রস্তাব করেন। কিন্তু কাউন্সিলররা ভোট করার দাবি জানান।
“এক পর্যায়ে হইহুল্লোর শুরু হলে নেতৃবৃন্দ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করে চলে যাওয়ার সময় পেছনে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের উপর আব্দুল হাইয়ের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়।”
এই বিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
আহতদের কোথায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়ায যায়নি।
আব্দুল হাই আকন্দ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে বলেন, ২৫৩ জন কাউন্সিলর সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি নেতৃবৃন্দের উপর ছেড়ে দিলে চেয়ারম্যান সাহেব এমপি মহোদয়সহ নেতৃবৃন্দকে অপমান করে কাউন্সিলরদের উপর ঢিল ছুড়লে কিছু উত্তেজিত কাউন্সিলর তার উপর চড়াও হয় এবং কয়েকজন আহত হয়।
তাদের পক্ষের কেউ আহত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি তাদের কেউ আহত হয়নি বলে জানান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খাঁন সোহেল হাজারী সাংবাদিকদের বলেন, সম্মেলনের ১ম অধিবেশন শেষে ২য় অধিবেশন ভালোভাবে চলছিল। কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি সম্মেলন মুলতবি ঘোষণা করেন।
“আমরা চলে আসার পরে কিছু গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি,” বলেন তিনি।
কালিহাতী থানার ওসি সওগাতুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টাঙ্গাইলের কোনো হাসপাতালে আহতদের কেউ ভর্তি হয়েছেন কিনা জানা যায়নি।