কনকনে শীতে কষ্টে শেরপুরের শ্রমজীবীরা

কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় শেরপুর জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে; সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2021, 06:43 AM
Updated : 18 Jan 2021, 06:43 AM

জেলায় কয়েকদিন ধরেই সকাল-সন্ধ্যা ও রাতে কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো শিশির পড়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

ঘন কুয়শার কারণে সামান্য দূরেও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী লোকজন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না।

খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তীব্র ঠান্ডা ও শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। ছিন্নমূল ও গরিব মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ বালাই।

শেরপুর শহরের পথচারী আবুল বাশার বলেন, “ঠান্ডা এবং কুয়াশা তীব্র আকার ধারণ করেছে আজ তিনদিন ধইরা। কাজকাম করা খুব কঠিন।”

সদর উপজেলার নামা শেরীরচর এলাকার বালু শ্রমিক ময়না মিয়া বলেন, “আজ তিনদিন ধইরা খুব ঠান্ডা আর কুয়াশার জন্যে কাম কাজ করন যাইতাছে না। বালু গাড়িত কাম করি, হাত-পাও কাইয়া নাইগগা আহে।”

সদর উপজেলার পাপুড়িয়া ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক হাসান বলেন, “গরিব মানুষ কাম কইরা খাই। অহন আইজগা কাজ-কাম নাই। কুয়াশার কারণে গেরস্থ কামে নেয় না।”

ওই এলাকায় পাপুড়িয়া রবিন সরদার বলেন, “আমরা শাপুড়িয়া মানুষ। নদীর সাইডে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনে থাকি; শীতে পোলাপাইন, বাল-বাচ্চা নিয়া থাকা খুব কষ্টে আছি। আয় রোজগার নাই; আইজকা কয়েকদিন ধইরা বসা আছি।”

কৃষি শ্রমিক আইজ উদ্দিন বলেন, “শীতের মধ্যে খুব কষ্টে চলতাছি। আইজকা কাম কাইজ পাইলাম না। ঘুইরা ঘাইরা যাইতাছি গা। কোন মতে দিনপাত চালাইতাছি।” 

শেরীপাড়ার শিশু রবিন বলেন, “আমরা গরিব মানুষ; শীতের কষ্ট হচ্ছে। পড়ালেখা ঠিকমতো করতে পারছি না। কাঠের ভূষিতে আগুন জ্বালাইয়া শীত নিবারণ করছি।”