জেলায় কয়েকদিন ধরেই সকাল-সন্ধ্যা ও রাতে কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো শিশির পড়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
ঘন কুয়শার কারণে সামান্য দূরেও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী লোকজন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না।
শেরপুর শহরের পথচারী আবুল বাশার বলেন, “ঠান্ডা এবং কুয়াশা তীব্র আকার ধারণ করেছে আজ তিনদিন ধইরা। কাজকাম করা খুব কঠিন।”
সদর উপজেলার নামা শেরীরচর এলাকার বালু শ্রমিক ময়না মিয়া বলেন, “আজ তিনদিন ধইরা খুব ঠান্ডা আর কুয়াশার জন্যে কাম কাজ করন যাইতাছে না। বালু গাড়িত কাম করি, হাত-পাও কাইয়া নাইগগা আহে।”
ওই এলাকায় পাপুড়িয়া রবিন সরদার বলেন, “আমরা শাপুড়িয়া মানুষ। নদীর সাইডে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনে থাকি; শীতে পোলাপাইন, বাল-বাচ্চা নিয়া থাকা খুব কষ্টে আছি। আয় রোজগার নাই; আইজকা কয়েকদিন ধইরা বসা আছি।”
শেরীপাড়ার শিশু রবিন বলেন, “আমরা গরিব মানুষ; শীতের কষ্ট হচ্ছে। পড়ালেখা ঠিকমতো করতে পারছি না। কাঠের ভূষিতে আগুন জ্বালাইয়া শীত নিবারণ করছি।”