পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এই কাপড়চোপড় স্বল্পমূল্যে কিনতে পারেন গ্রামগঞ্জের অল্প আয়ের মানুষেরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জাপান, তাইওয়ান, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসব শীতবস্ত্র এদেশে আমদানি হয়।
শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়, মধ্যত্তিরাও এখন পুরাতন শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় আসছে এসব দোকানে।
১০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এসব শীতবস্ত্র। পাইকারী দোকানিরা এসব শীতবস্ত্রকে রিকন্ডিশন গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।
তিনি জানান, শিশুদের শীতবস্ত্র ১০ টাকা থেকে একশ টাকায় বিক্রি করছেন। ক্রেতাও অনেক। প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে তার। ধনী-গরিব সবাই তাদের ক্রেতা।
জ্যাকেট ৫০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন বলে জানান হাড্ডিপট্টির এক দোকানের কর্মচারী সোবহান।
শহরের জ্বলেশ্বরীতলার সাবিহা নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকটা নুতন মনে হয় এসব গরম কাপড়; দামও কম; কিন্তু মানের দিক থেকে অনেক ভালো। এসব পুরাতন কাপড় না থাকলে গরিব মানুষের খুবই কষ্ট হতো।
কথা হলো সাতমাথায় ভ্রাম্যমাণ দোকানের ক্রেতা ইলিয়াসের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “সবাই পুরাতন কাপড় বললেও ক্রেতারা গরমের জন্য এসব কাপড় বেশ পছন্দ করে।”
কম মুল্যের পুরাতন এসব কাপড় উত্তরের গরিব মানুষের ভরসা বলে মনে করেন তিনি।
“মানের দিক থেকে খুবই ভালো। ডিজাইনও আধুনিক। কিছু জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট দেখে বোঝার উপায় নেই এসব পুরাতন। ঠিক রি-কন্ডিশন আমদানি করা গাড়ির মতো।”
তিনি জানান, আগে ইংল্যান্ড, আমেরিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব কাপড় আমদানি করা হলেও এখন তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান থেকে আসছে।
চট্টগ্রাম থেকে জ্যাকেট প্রতি বেল পাইকারি ১২ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকা, সোয়েটার প্রতি বেল সাত হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা, শিশুদের কাপড় আট হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায় কেনা হয় বলে তিনি জানান।