নানা সমস্যায় বেহাল কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জনবলসহ নানা সমস্যায় বেহাল হয়ে পড়েছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

রিপনচন্দ্র মল্লিক মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2020, 05:28 PM
Updated : 16 Dec 2020, 05:28 PM

হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসকের ২৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে আছে ১৩ জন। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৩৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১২টি পদ শূন্য রয়েছে। কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন যাবত নষ্ট হয়ে আছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ভালো থাকলেও সেটি পরিচালনা করার জন্য কোনো টেকনিশিয়ান নেই।

নিরুপায় হয়ে এলাকার মানুষদের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বরিশাল, ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে।

কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধির।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে তার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন, কিন্তু হাসপাতালে কোনো টেস্ট করানো যায়নি। বেশ কিছু টেস্ট তাকে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করতে হয়েছে।

“হাসপাতালের মেশিনপত্র নেই, লোকও নাকি নেই বলে ডাক্তারা জানিয়েছেন।”

একই ধরনের কথা বলেন উপজেলার নবগ্রাম থেকে আসা আরতি রানী। তিনি তার নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। এছাড়া ডাক্তারও খুব কম আসেন রোগী দেখতে।”

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঘরের মেঝে ও শৌচাগার খুবই অপরিষ্কারর। হাসপাতালে প্রবেশ করলেই শৌচাগারের উৎকট গন্ধ নাকে এসে লাগে।

মাদারীপুর নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের সভাপতি মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, “কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অনেক সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে জনবল। সরকারের কাছে দ্রুত এই হাসপাতালে জনবল ও চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী না থাকায় হাসপাতালের বাথরুমগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালে ২৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে আছে মাত্র ১৩ জন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৩৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১২টি পদ শূন্য রয়েছে।

“তাই আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা আমাদের সমস্যার সমাধানের জন্য জনবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তালিকা পাঠিয়েছি।”

শিঘ্রই সমস্যা সমাধন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।