পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, তীব্র শীত

কনকনে হিমেল হাওয়ার মধ্যে পঞ্চগড়ে জবুথবু হয়ে পড়েছে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2020, 11:22 AM
Updated : 15 Dec 2020, 11:22 AM

মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে এখানে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এছাড়া কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। এজন্য শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

আগামী দু-তিন দিন আকাশ এমন মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলার বেশিরভাগ এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়েছে। কোনো কোনোদিন দুপুরবেলা আকাশের মেঘ আর কুয়াশা ভেদ করে স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ মিলছে না।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় শহর ও সড়কে সন্ধ্যার পর থেকে লোকজনের আনাগোনা কম লক্ষ্য করা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দিনের বেলাও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকালবেলা গ্রাম এলাকায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।

শহরের অটোরিকশা চালক রবিউল ইসলাম, রিকশাচালক আহমদ আলীসহ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।

বানিয়াপাড়া মহল্লার রুহুল আমিন বাবু বলেন, সন্ধ্যার পর উঠানে মোটরসাইকেলটি ২/৪ মিনিট রাখলেই মনে হয় বৃষ্টির পানিতে ধোয়া হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এমন অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আগে এই সময়ে এত কুয়াশা ছিল না।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে ২১ হাজার ২০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দের জন্য চিঠি পাঠানো হবে।

তিনি সরকারের পাশাপাশি শীতার্তদের সহায়তায় সামর্থবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।